তরিক্বতের_অনুশীলনের_মাধ্যমে_মানুষ_আত্মশুদ্ধি_অর্জন_করে

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ

(আল্লাহর নামে আরম্ভ, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও পরম করুণাময়।)

"সেই সফলকাম হইবে, যে নিজেকে পবিত্র তথা পরিশুদ্ধ করিবে। এবং সেই ব্যর্থ হইবে, যে নিজেকে কলুষিত করিবে।"
- [আল কোরআন, সূরাঃ আশ–শাম্স, আয়াতঃ ৯-১০]

 

"যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোন উপকারে আসবে না’। সেদিন উপকৃত হবে শুধু সে, যে আল্লাহর নিকট আসবে বিশুদ্ধ অন্তঃকরণ লইয়া ।"
- [আল কোরআন, সূরাঃ আশ–শুআ’রা, আয়াতঃ ৮৮-৮৯]


হাদীছে পাকে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) ইরশাদ করেছেন, "জেনে রেখো! শরীরের মধ্যে এমন এক টুকরা গোশত রয়েছে, যা সুস্থ থাকলে সারা শরীরই সুস্থ থাকে, আর এটা অসুস্থ হয়ে গেলে সারা শরীরই অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো, আর এটাই হ'ল ক্বলব।"

 

প্রিয় নবী করীম(ﷺ) আরো ফরমায়েছেন, "‘আল্লাহ তা'আলা তোমাদের শরীর ও চেহারার দিকে দেখবেন না; বরং তিনি দেখবেন তোমাদের ক্বলব ও কর্মের দিকে।"


"তরিক্বতের অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন করে।"

---ফতেয়াবাদে পবিত্র এশায়াত মাহফিলে মাননীয় মোর্শেদে আজম (মাদ্দাজিল্লুহুল আলী) ছাহেব

 

মানবজাতিকে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা বহু নবী রাসুল প্রেরণ করেছেন। আখেরী নবী ছৈয়্যদুল মুরছালিন হুজুর আকরাম (দ.) এর মাধ্যমে নবুয়তের পরিসমাপ্তির পর পথপ্রদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন আউলিয়ায়ে কেরামগণ। হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) বিগত ৭০ বছর ধরে সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুর মাধ্যমে নবীজির বাতেনী নূর বিতরণ করে রুহানিয়্যতের বিকাশ ঘটিয়েছন। নফসের কুপ্রবৃত্তি দমিয়ে ক্বলবে সলিম তথা প্রশান্ত ক্বলবের নিয়ামত দান করেছেন।

পথচ্যূত মানবজাতিকে পুনরায় হেদায়তের পথে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন আভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধি। মানুষ যখন মানবীয় গুণাবলীর সুষমা হারিয়ে পাশবিকতায় ডুবে যায়, তখনই সমাজে বেড়ে যায় অপরাধ অপসংস্কৃতি ও বেহায়াপনা। হিংসা-ক্রোধ-অহংকারের ফলে মানুষের মধ্যে বেড়ে উঠা পাশবিকতা যা নির্মূলে প্রয়োজন সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ বিশিষ্ট তরিকত। মুনিরীয়া তরিক্বতের অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন করে।

পবিত্র জশ্নে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উদ্যাপন ও কাগতিয়া দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রাঃ) স্মরণে গত ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাদে জুমা হতে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ হাটহাজারী-ফটিকছড়ি সমন্বয়ন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এশায়াত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ আওলাদে রাসূল (দঃ) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চবি হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলী আরশাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ নুর খান, হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী এনামুল হক চৌধুরী, ১১ নং ফতেপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীন, ১০ নং উত্তর মাদার্শা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহেদুল আলম, ১২নং চিকনদন্ডি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান জামান বাচ্চু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুরুল আলম, ফতেয়াবাদ ডিগ্রী কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য জিয়া আমানত হায়াত মোর্শেদ নয়ন, চবি ডেপুটি রেজিস্টার মনিরুল ইসলাম, নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, ফতেয়াবাদ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোহাম্মদ লোকমান হাকিম, আলী ফারুক চৌধুরী, মোহাম্মদ জানে আলম জিসান, মোহাম্মদ এমরান। বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নুরী, মাওলানা মুহাম্মদ রকীব উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সবুর প্রমুখ। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে প্রধান অতিথি প্রিয় নবীজির (ﷺ) উসিলায় এবং খলিফায়ে রাসুল (দঃ) এর এখলাসের সাদকায় দেশ জাতির উন্নতি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন।

 

স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ