পবিত্র কোরআন হাদিসের আলোকে পীর, মুর্শিদ বা পথ-প্রদর্শক গ্রহণ প্রসঙ্গে
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
(আল্লাহর নামে আরম্ভ, যিনি অত্যন্ত দয়ালু ও পরম করুণাময়।)
ؕ ﴾مَنۡ یَّهۡدِ اللّٰهُ فَهُوَ الۡمُهۡتَدِ ۚ وَ مَنۡ یُّضۡلِلۡ فَلَنۡ تَجِدَ لَهٗ وَلِیًّا مُّرۡشِدًا ﴿سورة الكهف - ۱۷
সরল তরজুমা :: “আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান তথা হেদায়ত দান করেন, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে হেদায়াত দান করেন না, আপনি কখনও তার জন্যে সাহায্যকারী মুর্শিদ পাবেন না।” [সূরা কাহফ, আয়াত - ১৭]
﴾ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ ابۡتَغُوۡۤا اِلَیۡهِ الۡوَسِیۡلَۃَ وَ جَاهِدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِهٖ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
- ﴿سورة المائدة ۳۵
সরল তরজুমা :: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আল্লাহর পথে উসিলা তালাশ কর ও তাঁর পথে সংগ্রাম কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।” [সূরা মায়িদা, আয়াত - ৩৫]
﴾یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ کُوۡنُوۡا مَعَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿ سورة التوبة - ۱۱۹
সরল তরজুমা :: “হে ঈমান্দারগন, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথী হও।” [সূরা আত-তাওবা, আয়াত - ১১৯]
পীর, মুর্শিদ বা পথ-প্রদর্শক গ্রহণ প্রসঙ্গে কিছু কথা
অল্প শিক্ষিত লোকেরা নন, এমন কি এক শ্রেণীর উচ্চ শিক্ষিত লোকেরা ও পীর বা শায়খ না ধরার পক্ষে বিভিন্ন রকমের মনগড়া যুক্তি প্রদর্শন করে থাকেন। তাদের ধারণা পাঁচ ওয়াক্ত নামায, রোযা, ইত্যাদি ঠিক রাখলেই যথেষ্ট। পীর ধরতে হয় না। আসলেই সবখানে মনগড়া যুক্তি প্রচার করে নিজেকে বুদ্ধিজীবি বলে জাহির করাটা ঠিক নয়। হযরত নবী করিম (সঃ) ফরমান, “যে ব্যাক্তি নিজের বুদ্ধিকে যথেষ্ট মনে করে, সেই ব্যক্তি গোমরাহ্”। হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, “প্রত্যেক মুসলমান নরনারী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ।” ইলম বা জ্ঞান দু’প্রকার। ক্বলবী ইলম্ যা উপকারী ইলম, জবানী ইলম যা আল্লাহ পাকের তরফ থেকে, বান্দার জন্য দলিল স্বরূপ। অর্থাৎ, একটি হল, ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাসাউফ, ইলমে শিক্ষা করা ফরজ বলতে বোঝায়, ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাসাউফ, উভয়টিই জরূরত আন্দাজ শিক্ষা করা ফরজ। মেশকাত শরীফের শরাহ্ “মেরকাত” শরীফে হযরত ইমাম মালেক (মালেকী মাযহাবের ইমাম) এর উক্তি উল্লেখ করেছেন, যে ইলমে ফিকাহ্ শিক্ষা করল, ইলমে তাসাউফ (মারেফাত) শিক্ষা করল না সে ফাসেক অর্থাৎ গুনাহ্গার, আর যে ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করল, কিন্তু শরীয়তের ধার ধারলনা, সে যিন্দিক। আর যে ব্যক্তি দু’টিই শিক্ষা করল, সে মোহাক্কিক। হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) ও “কিমিয়ায়ে ছা আদাত” কিতাবে একই কথা বলেছেন। ইলমে ফিকাহ্ বা শরীয়তের ইলম্ অর্থাৎ ওযু, গোসল, ইস্তিঞ্জা ইত্যাদি শিক্ষার জন্য যেমন ওস্তাদ গ্রহণ ফরয। মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে বা বাড়ীতে কোন আলেমের কাছ থেকে ইলমে ফিকাহ্ অর্থাৎ শরীয়তের জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হয় কিন্তু পীর বা শায়খ ছাড়া ইলমে তাসাউফ অর্থাৎ মারেফাতের জ্ঞান লাভ করা কারো পক্ষে সম্ভব হয় না।
মারেফাত অর্থ আল্লাহকে চেনা। আর আল্লাহকে চেনা ফরয। আতশুদ্ধি লাভ করাও ফরয কিন্তু ইলমে তাসাউফ বা ইলমে মারেফাত ব্যতীত আতশুদ্ধি লাভ করা এবং আল্লাহকে চেনা সম্ভব নয়, সেহেতু ইলমে তাসাউফ বা ইলমে মারেফাত শিক্ষা করাও ফরয। “যাদুত্তাক্ওয়া” গ্রন্থে হযরত মাওলানা কিরামত আলী জৌনপুরী (রঃ) লিখেছেন, ইলমে তাসাউফ ব্যাতিরেকে ইলমে শরীয়ত অনুযায়ী পুরোপুরি আমল করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিখ্যাত “দোররোল মোখতার” কিতাব একটি উসুল উল্লেখ করা হয়েছে, “যে আমল ছাড়া ফরজ পূর্ণ হয়না, সেই আমল করাও ফরয, আর যে আমল ছাড়া ওয়াজিব পূর্ণ হয় না সে আমল কাও ওয়াজিব। ” ইলমে মারেফাত’রে অর্থাৎ আল্লাহকে চেনার জ্ঞান লাভ করতে হলে, অবশ্যই কামেল পীরের সান্নিধ্যে যেতে হবে। যেহেতু পীর ছাড়া মারেফাত শিক্ষা করা যায়না, আল্লাহকে চেনা যেহেতু ফরয। আর এই ফরয কাজটি পীর ছাড়া হচ্ছে না। যে আমল ছাড়া ফরয পূর্ণ হয়না, সে আমল করাও ফরয। সুতরাং পীরের সান্নিধ্যে যাওয়াও ফরয।
মোমেনের ঈমানের পরিপূর্ণতা লাভের জন্য এবং মানুষ তার স্রষ্টার পরিচয় লাভের জন্য, ইলমে তাসাউফ বা আধ্যাত্মিক জ্ঞান অর্জন করা ফরয। কিন্তু এ জ্ঞান যে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে অর্জন করা যায় না। প্রকৃত পীর মাশায়েখ ছাড়া অন্য কেউ এ জ্ঞানে জ্ঞানী বানাতে পারে না। ইসলামের আদিকাল থেকে এ পর্যন্ত এমন কোন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি, যিনি ইলমে তাসাউফ হাসিল না করে, শুধু কিতাবী বিদ্যা বা জাহিরি ইলমের দ্বারা মারেফাত হাসিল করতে পেরেছেন। যদি ইলমে তাসাউফ ছাড়া কামেল বা পূর্ণ মোমেন হওয়া সম্ভব হত, তাহলে হযরত ইমাম আবু হানিফা (রঃ), হযরত খাজা হাসান বসরী (রঃ), হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ), হযরত ইবনে হাম্মাম (রঃ), হযরত শাহাবুদ্দীন আনছারী (রঃ), হযরত আবুল হাছান শাজেলী (রঃ), হযরত আবদুল্লাহ আনছারী (রঃ) হযরত মোজাদ্দেদে আলফেসানী (রঃ), হযরত শাহ সূফী ফতেহ আলী (রঃ) ও হযরত হাফেজ মুনিরুদ্দীন (রঃ) প্রমুখ যুগ যুগ ধরে কামেল পীরের খেদমতে পড়ে থাকতেন না।পবিত্র কোরআনে আল্লাহতালা এরশাদ করেন, হে ঈমানদারগণ, তোমার আল্লাহকে ভয় কর, এবং আল্লাহ প্রাপ্তির পথে “উসিলা” তালাশ কর। “কাউলুল জামির” কিতাবে ২৮ পৃষ্ঠা ও হযর মোজাদ্দেক আল ফেসানী (রঃ) এর মকতুবাত শরীফের দ্বিতীয় খন্ডের, ১২৬ পৃষ্ঠায় এই উসিলা শব্দের অর্থ “পীর গ্রহণ করা, বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) তাঁর “সিররুল আসরার” কিতাবে লিখেছেন, পীরের দেহ আয়না স্বরূপ। আল্লাহ এবংমুরীদের মধ্যে পীর উসিলা মাত্র। উক্ত কিতাবে ক্বলব যিন্দা করার জন্য ত্বরিকতের পীরের অনুসন্ধান করা ফরয বলে তিনি মত প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য যে, বিশ্ববিখ্যাত ইমাম আল্লামা ফখরুদ্দীন রাজী (রঃ) এর মৃত্যু যন্ত্রণা অর্থাৎ সখরাতের ঘটনার দিকে খেয়াল করলেও পীর গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সহজে সহজে অনুভব করা যায়।
ইমাম ফখরুদ্দীন রাজী (রঃ) ছিলেন, বিশ্ববিখ্যাত অলী হযর নজমুদ্দীন কোবরা (রঃ) ছিলেন, বিশ্ববিখ্যাত অলী (রঃ) এর বিশিষ্ট মুরীদ। মৃত্যু যন্ত্রণার সময় শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, (“আল্লাহ”) যে এক তার প্রমাণ কি? তখন তিনি আল্লাহর একত্ববাদের উপর শয়তানের মোকাবেলায় মোট ৩৬০টি দলিল উপস্থাপন করলেন, মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থায় শয়তানের সামনে এতগুলো দলিল পেশ করা শুধুমাত্র ইমাম রাজীর জন্যই সম্ভব পর হয়েছিল। অন্য কারো পক্ষে এটা সম্ভব হবে কিনা, তা বলা মুশকিল। কিন্তু শয়তানের কাছে তার সব দলিলই হেরে গেল। আর একটি দলিমাত্র বাকী। শয়তান যদি এটাকেও হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে ইমাম রাজীর মত আলেমকে ইহজগত থেকে ঈমান হারা হয়ে অর্থাৎ বেঈমান হয়ে বিদায় নিতে হবে।
এদিকে তার পীর হযরত নজমুদ্দীন কোবরা (রঃ) স্বীয় রূহানী ক্ষমতার মাধ্যমে বাতেনি চোখ দিয়ে কয়েক’শ মাইলদূরে অবস্থিত তার আস্তানা থেকে দেখলেন যে, ইমাম রাজী ও শয়তানের মধ্যে তর্কবিতর্ক চলছে। সে সময় তিনি নামাযের জন্য ওযু করছিলেন। কয়েক বদ্না পানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর ও তাঁর ওযু শেষ হলনা। শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি ইমাম রাজীর অবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখলেন। পরিশেষে ইমাম রাজীর এ দুরবস্থা দেখে তাঁর ওযু শেষ হলনা। শুধুমাত্র আধ্যাত্মিক ক্ষমতার মাধ্যমে তিনি ইমাম রাজীর আবস্থার দিকে লক্ষ্য রাখলেন। পরিশেষে ইমাম রাজীর এ দুরবস্থা দেখে তাঁর নিকট জালালীয়াত এসে গেল। এবং তিনি উচ্চস্বরে ওযুর বদ্না শয়তানের দিকে নিক্ষেপ করে বলে উঠলেন, হে ইমাম রাজী, তুমি শয়তানকে বলে দাও, আমি অন্তর দিয়ে আল্লাহকে এক স্বীকর করছি। আমার নিকট দলিলের কোন প্রয়োজন নেই। বিনা দলিলে আল্লাহ এক।
কিন্তু আশ্চর্য্যরে বিষয়, আল্লাহর অলীর ক্ষমতার মাধ্যমে, নিক্ষিপ্ত ঐ বদ্না তাঁর আস্তানা থেকে কয়েক’শ মাইল দূরে ইমাম রাজীর মৃত্যু শয্যায় তাঁর মাথার পাশে গিয়ে পড়ল। তিনি স্বীয় মোর্শেদের সেই আওয়াজ শুনতে পেলেন এবং বলিষ্ঠ কন্ঠে বলে দিলেন, বিনা দলিলে আল্লাহ এক। এর পর শয়তান সেখানে থেকে চলে গেল এবং ইমাম রাজী (রঃ) কলেমা শরীফ পাঠ করে ইহজগত ত্যাগ করেন। তখন তাঁর খাতেমা বিল্ খায়ের হয়। “নূরানী তকরিরের” এ বর্ণনা থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে, ত্বরিকতের হক্কানী পীর গ্রহন না করে শুধুমাত্র ইলমে জাহেরীর উপর নির্ভর করে যদি মৃত্যুর সময় শয়তানের সাতে মোকাবেলা করে কলেমা নসীব হওয়া সম্ভব হত, তাাহরে ইমাম রাজীর জন্যই এটা সম্ভবপর হত যখন ইমাম রাজীর জন্যই এটা সম্ভবপর হত। যখন ইমাম রাজীর পক্ষে তা সম্ভব হলনা, তখন আর কারো পক্ষে সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যায় না। তাই মাওলানা রুমী (রঃ) বর্ণনা করেন,।
উল্লেখ্য যে, কাগতিয়ার মোর্শেদে বরহক স্বীয় খানকাহ শরীফ থেকে মহিলা মুরীদদেরকে “তাওয়াজ্জ্হু বিল গায়েব” এর মাধ্যমে তাদের বাড়ীতে যে ছবক প্রদান করে থাকেন, উপরোল্লিখিত বর্ণনা তারই সত্যতা প্রমাণ করে। এ সর্ম্পকে সামনে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এখানে স্মরণ রাখা উচিত, পীর ধরা ছাড়া শুধু ইলমে জাহির শিখলে চলবেনা। তাই আল্লাহ পাক ফরমান,
হে ঈমানদারগণ! তোমার আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সংগী হয়ে যাও। ছুফিয়ায়ে কেরামদের মতে এই আয়াত দ্বারা আউলিয়ায়ে কেরাম তথা খাঁটি পীর মাশায়েখগণকে বোঝানো হয়েছে (রুহুল বয়ান)। তিনি আরো ফরমান, এমন ব্যক্তির অনুসরণ কর, যে আমার দিকে ধাবিত হয়েছে।
প্রকৃত পীর অলীদের সাথে দুশমনি ও তাদের সমালোচনা করতে অনেক শিক্ষিত লোককেও দেখাযায়। তাদের মতবাদের সাথে না মেলার কারণে অমুক পীর এমন, অমুক পীর তেমন, ফতেয়া প্রচার করে থাকে। ঐ পীর কেমন এবং আল্লাহর কাছে তাঁর কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে, তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। আল্লাহ ধন, সম্পদ, দামী পোশাক পরিচ্ছদ এবং সুন্দর দেহকে গুরুত্ব দেননা। আল্লাহপাক ফরমান, “যে ব্যক্তি পরিষ্কার ক্বলব নিয়ে আমার সামনে উপস্থিত হবে সে ছাড়া আর কেউ পরিত্রাণ পাব না”। হাদীসে কুদসীতে বলা হয়েছে, “নিশ্চয় আমার অলীগণ আমার কুদরতের চাদরের মদ্যে আবস্থান করেন, আমি ছাড়া কেউ তাদেরকে হাকিক্বীভাবে চিনেনা।” আওয়াম লোকেরা প্রকৃত পীর অলীদের সমালোচনা করে নিজেকে কাহান্নামের খোরাকে পরিণত করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না। আল্লাহ বলেন,স্মরণ রেখ, “আল্লাহর অলী বা প্রিয় বান্দাগণ নিঃসন্দেহে নির্ভয় এবং নিশ্চিন্ত”। যারা অলীদের সাথে দুশমনি এবং সমালোচনা করে, তাঁরা আল্লাহর দুশমন। হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ পাক ফরমান, “যে ব্যক্তি আমার অলীদের সংগে দুশমনি করবে, তাকে আমার সংগে যুদ্ধ করার আদেশ দিচ্ছি।” সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, যারা পীর ধরার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন তারা মানুষ ছদ্মবেশী শয়তান ছাড়া আর কেউ নয়। কারণ, ইলমে মারেফাত হল আল্লাহকে চেনার পথ। আর এ বিদ্যা অর্জন করতে হলে পীরের সান্নধ্যে যেতে হবে। যারা জেনে শুনে আল্লাহকে চেনার পথে মানুষকে আসতে নিষেধ করে তারা তো প্রকাশ্য দুশমন এবং শয়তান ছাড়া আর কেউ নয়। কারণ, ইলমে মারেফাত হল আল্লাহকে চেনার পথ। আর এ বিদ্যা অর্জন কতে হলে পীরের সান্নিধ্যে যেতে হবে। যারা জেনে শুনে আল্লাহকে চেনার পতে মানুষকে আসতে নিষেদ করে তারা তো প্রকাশ্য দুশমন এবং শয়তান। করণ শয়তানই আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে সরিয়ে রাখে। সেজন্য হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (রঃ), হযরত যুনায়েদ বোগদাদী (রঃ) ও হযরত ইমাম গাজ্জালী (রঃ) তাদের “সীরাত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “যে ব্যক্তির কোন পীর নেই, তাঁর পীর শয়তান”।