দ্বীনি-শিক্ষার-ঐতিহাসিক-প্রানকেন্দ্র-কাগতিয়া-মাদরাসা

 

নিভৃত পল্লির বুকে গড়ে উঠা কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসা আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের তৈরী করে যাচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন একাডেমিক ভবন, সুবিশাল খেলার মাঠ, বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাচেতনার বিকাশের লক্ষ্যে কম্পিউটার ল্যাব, অমূল্য সব কিতাব দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে সুবৃহৎ গ্রন্থাগার যা এ মাদরাসাকে করেছে অনন্য। শিক্ষার্থীদের ঈর্ষনীয় ফলাফল এ মাদরাসাকে করেছে সমৃদ্ধ। মূল ক্যাম্পাসের পাশাপাশি বায়োজিদস্থ গাউছুল আজম সিটিতে চট্টগ্রাম মহানগর ক্যাম্পাসের অগ্রযাত্রায় গুণগত শিক্ষার প্রসারে মাইলফলক সৃষ্টি করেছে।

প্রিয় রাসুল (দ.) বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। জ্ঞান অর্জনের মিশনকে যে মহান মনিষী বিশ্ববাসীর কাছে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন তিনি হলেন খলিফায়ে রাসুল হযরত গাউছুল আজম (রাঃ)। নিভৃত পল্লির এ মাদরাসার উন্নতিসাধনের রূপকার হলেন হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) যিনি বলেছেন, আমি কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসাকে নিজের সন্তানের চেয়েও বেশি মুহাব্বত করি। তিনি আরো বলেছেন, আমি যা কিছু পেয়েছি কাগতিয়া মাদরাসার খেদমতের মাঝেই পেয়েছি। হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ইলম বা জ্ঞান হলো দুই ধরণের একটি এলমুল লেসান অপরটি এলমুল জেনান। এই দুই ধরণের এলমের ভান্ডার হলো কাগতিয়া মাদরাসা। একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা সুচারুভাবে করা আছে এ মাদরাসায়। আলোকিত মানুষ তৈরীতে এ মাদরাসা যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে।

খলিফায়ে রাসুল হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) এর পরবর্তীতে বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয়ও মাদরাসার উন্নতি ও অগ্রগতির ব্যাপারে সদা সচেষ্ট। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একাডেমিক সফলতায় বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয়ের সুনিবিড় তত্ত্বাবধান এবং আন্তরিকতায় এ মাদরাসা শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাদরাসায় পরিণত হয়েছে। বিগত দাখিল পরীক্ষায় শত ভাগ পাসের পাশাপাশি বিশ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস অর্জন করে। শুধুমাত্র একাডেমিক ফলাফল নয় সহশিক্ষা কার্যক্রমেও এ মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সফলতার সাক্ষর রেখে যাচ্ছে। এ মাদরাসার গোড়াপত্তন হয়েছে একজন আশেকে রাসুল (দ.) এর হাতে অতঃপর খলিফায়ে রাসুল হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) এর পর উনার একমাত্র প্রতিনিধি বর্তমান অধ্যক্ষ মহোদয়ের হাতে। এ মাদরাসার দায়িত্ব এমন ব্যক্তিত্বদের হাত মোবারকে অর্পিত হয়েছে যারা প্রিয় রাসুল (দ.) এর পছন্দনীয়। এ মাদরাসার দিন দিন উন্নতি এবং অগ্রগতির রহস্য হলো এই মহান ব্যক্তিদের শ্রম, ত্যাগ এবং অনবদ্য ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এ মাদরাসায় একজন শিক্ষার্থী ভর্তি হলে শুধুমাত্র একজন ভালো শিক্ষার্থী হয়ে গড়ে উঠেনা পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হিসেবেও তৈরী হয়। এ মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুহিব্বিনদের উপর প্রিয় নবী (দ.) এবং হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) দয়া মেহেরবানির নজর সর্বদা জারি থাকে।

গত (১৭ ডিসেম্বর’২২ ইং) শনিবার বেলা ০৩ টা হতে বায়েজিদ মহানগর ক্যাম্পাস সম্মুখস্থ ময়দানে অনুষ্ঠিত এশিয়াখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাগতিয়া কামিল এম.এ মাদরাসার ৮৮তম এনামী জলসায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারেছীন মহাসচিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বীর আহমদ মোমতাজী । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের প্রফেসর ড. জালাল আহমদ, নানুপুর মাজহারুল উলুম গাউছিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা মুছলেহ উদ্দীন আহমদ মাদানী, ২নং জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ সাহেদ ইকবাল বাবু, চাঁদপুর আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধালীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ সরওয়ার কামাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দেলওয়ার হোসেন খাঁন প্রমুখ।

জলসায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ কারিমুল মওলা, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম।

মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।

মাদ্রাসার সাম্প্রতিক জলসা সমূহ

মাদরাসার সাম্প্রতিক সংবাদ সমূহ

স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ