১৩১৫৭ টি খতমে কুরআন আদায়ের মাধ্যমে কাগতিয়া দরবারের খতমে কোরআন মাহফিল সম্পন্ন

 

আল কুরআনের ঐশী চেতনায় - ঐতিহাসিক খতমে কুরআন মাহফিল

ধরার বুকে রহমত-বরকত-নাজাতের সাওগাত নিয়ে আগমন করেছে পবিত্র মাস রমজান। প্রিয় রাসুলের হাদিস শরীফ মতে, এই মাসে বেহেশতের রহমতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়, দোযখের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়, শয়তানকে শৃঙ্খলবদ্ধ করা হয়, প্রতিটি আমলের সাওয়াব ৭০ গুণ বৃদ্ধি করা হয় এবং এ মাসেই পবিত্র কুরআন মাজীদ নাযিল হওয়াতে রমজান মাসের গুরত্ব- ফজিলত আরো অধিকহারে বেড়ে যায়। সিয়াম-সাধনার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ, জিকর-আজকার, কুরআন তেলাওয়াত, নফল ইবাদত-বান্দেগিতে মানুষের মাঝে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার প্রেরণা জাগে। খলিফায়ে রাসুল হযরত গাউছুল আজম (রাঃ) সমস্ত জীবন ফয়েজে কুরআন এর মাধ্যমে মানুষের ক্বলবকে কুরআনের নূর দিয়ে রাঙিয়েছেন, কুরআনের চেতনা ধারণে ও কুরআনের নূর গ্রহণে উজ্জিবীত করেছেন। কুরআন তেলওয়াতের মর্মকে এমনভাবে উপলব্ধি করিয়েছেন যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ঐতিহাসিক খতমে কুরআন মাহফিল। মুসলিম মিল্লাতের মাঝে পবিত্র কুরআনের সুধা বিতরণে বর্তমান বিশ্বে এ এক অনন্য এবং অভূতপূর্ব জাগরণ।

প্রতিবছরের ন্যায় গত রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টা হতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ঈছালে ছাওয়াব, দরবারের মহীয়সী রমণী জমানার রাবেয়া বসরী রূহানী আম্মাজান (রহ.) এর সালানা ওফাত শরীফ এবং পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক খতমে কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য যে, এ বছর ১৩১৫৭টি খতমে কোরআন, ৫৮৭টি তাহলিল, ৫৯টি খতমে ইউনূচ ও ৪৭ টি দরূদে সাইফুল্লাহ আদায় করা হয়।

মাহফিল শেষে দেশ, জাতি, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ, পরকালীন মুক্তি এবং হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।

স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ