হজরত-গাউছুল-আজম-রাদ্বিয়াল্লাহু-আনহুর-জীবন-ও-দর্শন-বহু-পথহারা-মানুষকে-আলোর-পথ-দেখিয়েছে

 

হজরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উনার জীবন ও দর্শন বহু পথহারা মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন।

সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার অপার নেয়ামতের শোকর আদায় এবং স্রষ্টার সকল বিধি-বিধান পালনের মাধ্যমে বান্দা স্রষ্টার নৈকট্য অর্জন করতে পারে। আবার এসবের বিরুদ্ধাচারণ বা অবমাননার ফলে ভূপৃষ্টে নেমে আসে ভয়াবহ দুর্যোগ ও দুর্গতি। ইতিহাস থেকে এর শিক্ষা নিয়ে মুসলমানদেরকে রূহানী শক্তিতে বলীয়ান হয়ে নিজেদের ঈমান ও আক্বিদাকে আরও মজবুত করতে হবে। আর এ রূহানিয়াত অর্জনের অনন্য ক্ষেত্র হচ্ছে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ। এ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এমন এক যুগশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ও সফল আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, যার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও দর্শন অগণিত পথভোলা মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছে।

বর্তমানে মুসলমানেরা ইসলামের মৌলিক আদর্শকে ভুলতে বসেছে। যার ফলে যুবসমাজের মাঝে ইসলামের চেতনাবিরোধী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নাজুক অবস্থার উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যুবসমাজকে কোরআন-সুন্নাহর পথে ফিরে আনতে হবে। আর এজন্য অনেক আগেই আশির দশকে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ সংস্কারক শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বিপথগামী যুবসমাজকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনতে সর্বপ্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর আধ্যাত্মিক প্রচেষ্ঠায় সে সময় দেশ-বিদেশের অগণিত যুবক ফিরে এসেছে আলোর পথে। পরবর্তীতে এ কিংবদন্তিতূল্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব গঠন করেন অরাজনৈতিক তরিক্বত ভিত্তিক আধ্যাত্মিক সংগঠন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে সংগঠন যুব সমাজের মননে ও চিন্তা-চেতনায় আধ্যাত্মিকতার বিকাশ ঘটিয়ে তাদের পারলৌকিক কল্যাণ সুনিশ্চিত করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

গত রবিবার (২৮ মে) আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আল নাকিলে অনুষ্ঠিত মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ৫৭ নং দুবাই শাখার এশায়াত মাহফিলে বক্তরা এসব কথা বলেন।

এ সময় দুবাই কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব হারুন এম আজাদ এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, মুহাম্মদ আবুল কালাম, আলহাজ্ব মাহমুদুল হক, মাহবুবুল আলম,আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া, মৌলানা মুহাম্মদ ইসমাঈল, মুহাম্মদ তসলিম উদ্দিন, মৌলানা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মৌলানা মুহাম্মদ মুজিবুল করিম সাইমন প্রমূখ।

মাহফিল শেষে দেশ, জাতি, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও উপস্থিত সকলের ইহকালীন কল্যাণ, পরকালীন মুক্তি এবং কাগতিয়ার গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়।

স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ

গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ